মুরাদনগরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি: অধ্যক্ষের আশ্বাস
- আপডেট সময় : ১২:১৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪ ১৩৯ বার পঠিত
শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ ও মাদ্রাসার ইতিহাস-ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার পরমতলা ইদ্রিসিয়া ফাযিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন। রবিবার (১৮ আগস্ট) মাদ্রাসা চলাকালীন সময়ে অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ নৌশাদ আলমের কাছে এ ১০ দফা জমা দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা এ দাবির অনুলিপি মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ, গভর্নিং বডির সদস্য এবং শিক্ষকমণ্ডলির কাছে প্রদান করেন। এর আগে, একটি প্রতিনিধি দল সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে। প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ঐক্যমতের ভিত্তিতে স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন।
শিক্ষার্থীদের দেওয়া ১০ দফা দাবি হলো:
১. সকল শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড প্রদান এবং এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
২. শিক্ষা ও মাহফিল সংক্রান্ত সকল মিটিংয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. সকল শিক্ষার্থীদের সঠিক ড্রেস কোড বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। প্যান্ট পরে অথবা টুপি ছাড়া কেউ ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পারবে না।
৪. বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসের নাম করে মাদ্রাসা ফাঁকি দিলে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. ধুমপান ও মাদকদ্রব্যের সাথে জড়িত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক সতর্কতার পরেও সংশোধন না হলে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
৬. ছেলে শিক্ষার্থীদের জোহর নামাজ মাদ্রাসার মসজিদে আদায় করতে হবে এবং মেয়েদের নির্দিষ্ট নামাজের স্থানে নামাজ আদায়ের জন্য বাধ্য করতে হবে। অন্যান্য নামাজগুলো যথাযথ আদায়ে উৎসাহিত করতে হবে।
৭. হোস্টেলে সিট বরাদ্দের ক্ষেত্রে মেধা ও আর্থিক অবস্থার বিবেচনা করতে হবে। হোস্টেলের সকল শিক্ষার্থীকে ইসলামের প্রাথমিক বিষয়সমূহ মেনে চলতে হবে এবং হোস্টেলে প্যান্ট নিষিদ্ধ করতে হবে।
৮. প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে কোনো শিক্ষক ক্লাসে প্রাইভেটের প্রতি উৎসাহিত করতে পারবে না। ক্লাস শুরুর ১ ঘণ্টা আগে থেকে ক্যাম্পাসে কোনো প্রকার প্রাইভেট ক্লাস চালানো যাবে না। পরিষদ চাইলে ক্লাবের ক্লাস চালু রাখা যাবে।
৯. কোনো শিক্ষার্থী হারাম সম্পর্কের সাথে জড়িত প্রমাণিত হলে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করতে হবে। ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে প্রতিটি ক্লাসে পর্দার ব্যবস্থা করতে হবে।
১০. শারীরিক প্রশিক্ষণের (পিটি) কার্যক্রম পরিচালনায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর উপরে কোনো মেয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
এছাড়াও, শিক্ষার্থীরা একটি মৌখিক দাবি উপস্থাপন করেছেন, যেখানে মর্নিং ক্লাসের বিষয়টি অনুরোধ করা হয়েছে।
অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ নৌশাদ আলম শিক্ষার্থীদের এসব দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।